Message: Return type of CI_Session_files_driver::open($save_path, $name) should either be compatible with SessionHandlerInterface::open(string $path, string $name): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::close() should either be compatible with SessionHandlerInterface::close(): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::read($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::read(string $id): string|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::write($session_id, $session_data) should either be compatible with SessionHandlerInterface::write(string $id, string $data): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::destroy($session_id) should either be compatible with SessionHandlerInterface::destroy(string $id): bool, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
Message: Return type of CI_Session_files_driver::gc($maxlifetime) should either be compatible with SessionHandlerInterface::gc(int $max_lifetime): int|false, or the #[\ReturnTypeWillChange] attribute should be used to temporarily suppress the notice
নেপালে টানা বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
দেশজুড়ে দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এলো। তবে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরও বিক্ষোভ থামেনি। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল ও সহিংস হয়ে উঠেছে।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয় যখন বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। তারা ভবনে অগ্নিসংযোগ করে এবং ভেতর থেকে বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। বিশ্লেষকরা ঘটনাটিকে নেপালের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির দেশ ছাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি একটি প্রাইভেট জেটে করে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হতে পারেন। ইতোমধ্যে তিনি দায়িত্বভার অস্থায়ীভাবে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীকে অর্পণ করেছেন।
পদত্যাগের আগে এক বিবৃতিতে অলি জানান, রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে তিনি সব দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন এবং এদিন সন্ধ্যা ৬টায় সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি দেশবাসীর প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি প্রাসঙ্গিক সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং সংকট সমাধানে কাজ করছি। এই সংকটময় সময়ে আমি দেশের সব ভাইবোনদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে নেপাল এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশটি এখন এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক শূন্যতার মুখে দাঁড়িয়ে, যেখানে নেতৃত্বের অনুপস্থিতি এবং অস্থিরতা এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে নেপালকে।
টানা দুই দিনের দুর্নীতিবিরোধী সহিংস প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। ‘জেন-জি আন্দোলন’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল অলির পদত্যাগ। সেই দাবি মেনে পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগের কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা এল। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।
বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নেপালি তরুণদের আন্দোলন গড়ায় দ্বিতীয় দিনে। গতকাল সোমবার আন্দোলনের প্রথম দিনে পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হয়। সেদিনই জারি করা হয় কারফিউ। তবে, আজ মঙ্গলবার তরুণেরা কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করছেন। এমনকি তারা দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান জেনারেশন জেডের তরুণেরা। তাঁরা নেতাদের বাসায় ইটপাটকেল ছোড়েন এবং অগ্নিসংযোগ করেন।
ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী প্রত্যুষ সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন লাগান বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের ভৈসেপাতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। গত সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।
ভৈসেপাতিতে অবস্থিত নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনেও হামলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বুড়ানিলকণ্ঠায় অবস্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শেরবাহাদুর দেউবার বাসার সামনে পৌঁছালেও নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের আটকায়।
এ ছাড়া বিরোধী দল সিপিএনের (মাওইস্ট সেন্টার) চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহলের খুমালতার বাসভবনেও ইটপাটকেল ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী ও অন্য নেতাদের বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
ভোর থেকে আন্দোলনে জেন-জি, উত্তাল কাঠমান্ডু ও আশপাশের জেলা
নেপালে সরকারি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবারও বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কারফিউ উপেক্ষা করে জেনারেশন জেডের (জেন-জি) বিক্ষোভকারীরা সানেপা এলাকায় অবরোধ গড়ে তুলেছে। ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ তরুণ বিক্ষোভকারী নিহত হন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তরুণরাই নয়, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে জ্যেষ্ঠ নাগরিকরাও বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
সকালে বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন এবং প্রধান দলগুলোর কার্যালয় লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে এবং অগ্নিসংযোগ করে। রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও দেশের একাধিক জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। উত্তেজনা সামাল দিতে বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন, তবে বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে।
দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলঙ্কি, চাপাগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনেও বিক্ষোভ হয় এবং পুলিশ সেখানে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাঠমান্ডু জেলায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রিং রোড এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এতে বালকুমারী সেতু, কোটেশ্বর, সিনামঙ্গল, গৌশালা, চাবাহিল, নারায়ণ গোপাল চক, গঙ্গাবু, বালাজু, স্বয়ম্ভু, কলঙ্কি, বলখু ও বাগমতী সেতু এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ২, ৪, ৯, ১৮ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশে কারফিউ বলবৎ থাকবে, যার মধ্যে ভাইসেপতি, সানেপা এবং ছ্যাসাল এলাকা রয়েছে। ভক্তপুরে মধ্যপুর থিমি, সূর্যবিনায়ক, চাঙ্গুনারায়ণ এবং ভক্তপুর পৌরসভা এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগের কারণে জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়ছে বলে বিশ্লেষকদের মত। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের শুরু করা বিক্ষোভ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন, যার মধ্যে ১৭ জনই রাজধানী কাঠমান্ডুর বাসিন্দা। বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারীতে।
কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানাল জানিয়েছেন, সমাবেশ চলাকালে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “কিছু এলাকায় এখনও সংঘর্ষ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।”
জেনারেশন জেড নামে পরিচিত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারী শহরে কারফিউ জারি করা হয়। তবু কারফিউ অমান্য করে কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় অবস্থিত ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলছে।
নিহতদের মরদেহ রাখা হয়েছে নিউ বানেশ্বরের সিভিল সার্ভিস হাসপাতাল ও এভারেস্ট হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকাংশ মরদেহেই গুলির চিহ্ন স্পষ্ট। সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীপক পাউডেল বলেন, “আমরা যে আহতদের পেয়েছি, তাদের অধিকাংশের শরীরেই গুলির আঘাত রয়েছে।”
জাতীয় ট্রমা সেন্টার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃতদেহ গ্রহণ করেছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন প্রধান চিকিৎসক ডা. বদরি রিজাল। সিনামঙ্গলের কেএমসি টিচিং হাসপাতালেও একজন আহতের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া কাঠমান্ডুর তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও এক শতাধিক আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন, আর চিকিৎসা শেষে অন্তত ৪৫ জন ঘরে ফিরেছেন। বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশের প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে। প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, হাসপাতালগুলোয় চাপ বাড়ছে আহতদের নিয়ে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার যদি তরুণদের ক্ষোভ ও দাবিগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব না দেয়, তবে এই বিক্ষোভ আরও তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনে পরিণত হতে পারে। কারফিউ ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়তো সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আনবে, কিন্তু এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েলে হুতিদের ড্রোন হামলা, রামন বিমানবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ
ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ড্রোন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রামন বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। এতে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে এবং আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রোনটি লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী শহর আইলাতের কাছে অবস্থিত রামন বিমানবন্দরে আঘাত হানে। এতে উড্ডয়ন ও অবতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ড্রোনটি ছোড়া হলেও এটি আগাম শনাক্ত করা যায়নি। কী কারণে শনাক্তে ব্যর্থতা ঘটেছে—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
হুতি গোষ্ঠী দাবি করছে, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী অতীতে বহুবার ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।
রোববারের হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেটির প্রতিশোধ হিসেবেই হুতিরা এই আঘাত হেনেছে।
এই ড্রোন হামলায় দুইজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এর আগে, মে মাসে ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরের কাছাকাছি হুতিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। সেবার চারজন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইসরায়েলগামী ফ্লাইট বাতিল করেছিল।
রাশিয়া এবার সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করেছে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকারকেও। যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। একই সময়ে রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় চালানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বেরিডেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রথমবারের মতো শত্রুর হামলায় সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আমরা ভবন পুনর্গঠন করতে পারব, কিন্তু যাদের হারিয়েছি, তারা আর ফিরে আসবে না।”
স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তাদের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, কিয়েভে রুশ হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। সরকারি কার্যালয়সহ বহু ভবনে আগুন ধরে যায়।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে এক শিশু ও এক তরুণী রয়েছেন। শহরের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি উঁচু ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ডিনিপ্রো নদীর পূর্বে ডার্নিটস্কি জেলায় একটি চারতলা অ্যাপার্টমেন্টে এবং সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় ১৬ তলা ও দুটি ৯ তলা ভবনে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এক বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। অন্যদিকে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে এক বৃদ্ধার মৃত্যুও নিশ্চিত হয়েছে, যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। হামলার কারণে শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিয়েভজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই হামলার জবাবে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বলেন,“বিশ্বকে শুধু কথা নয়, কর্ম দিয়েও প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। বিশেষ করে রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করতে হবে।”
ইসরায়েলের সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে গাজা এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপ। ভয়াবহ বিমান ও স্থল হামলায় পুরো উপত্যকাই রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও গাজা থেকে প্রতিরোধের খবর আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, গাজা উপত্যকা থেকে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে একটি আকাশেই প্রতিহত করা সম্ভব হলেও অন্যটি জনবসতিহীন এলাকায় আঘাত হানে। প্রায় তিন সপ্তাহ পর গাজা থেকে এটাই প্রথম রকেট হামলা।
রকেট হামলার পর ইসরায়েলের নেটিভোট শহরসহ আশপাশের এলাকায় সতর্কতাস্বরূপ সাইরেন বাজানো হয়। লোকজনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ বাহিনী তৎপর হয়। তবে আইডিএফ পরে জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নাগরিকদের আর আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইসরায়েলের জরুরি সেবাদাতা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি এবং কোনো স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। টানা ৭০০ দিনের বেশি সময় ধরে চলা বোমাবর্ষণ ও হামলায় পুরো উপত্যকার ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
এই ধ্বংসযজ্ঞ শুধুই অবকাঠামোর বিরুদ্ধে নয় এটি এক পদ্ধতিগত গণহত্যা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির অংশ বলে অভিহিত করেছে অনেক মানবাধিকার সংগঠন। এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৭০০ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার শিশু এবং ১২ হাজার ৫০০ নারী। প্রায় ২ হাজার ৭০০ পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
নিহতদের তালিকায় আরও আছেন, ১,৬৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২৪৮ জন সাংবাদিক, ১৩৯ জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য, ১৭৩ জন পৌরসভার কর্মী। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য অঙ্গহানি, পক্ষাঘাত বা দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ধ্বংস হয়েছে, ৩৮টি হাসপাতাল, ৮৩৩টি মসজিদ, ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার সরকারি ভবন। ইসরায়েল এখনো বলছে, তাদের হামলার একমাত্র লক্ষ্য হামাস এবং তাদের ব্যবহৃত অবকাঠামো। সরকার দাবি করছে, হামাস পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।
ভেনেজুয়েলা: বিশ্বের শীর্ষ তেল ভাণ্ডার, কিন্তু আয় শূন্যের কোটায়
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণিত তেল মজুদের অধিকারী দেশ ভেনেজুয়েলা। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির মাটির নিচে মজুত রয়েছে প্রায় ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল তেল, যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় পাঁচ গুণ এবং সৌদি আরব, ইরান ও কানাডার থেকেও বেশি। এত বিপুল সম্পদের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও দেশটি তেল রপ্তানি থেকে কাঙ্ক্ষিত আয় করতে পারছে না।
এর মূল কারণ লুকিয়ে আছে তেলের গুণগত মান ও উত্তোলন প্রক্রিয়ার জটিলতায়। ভেনেজুয়েলার প্রধান তেলক্ষেত্র ওরিনোকো বেল্টে অবস্থিত, যেখানে উৎপাদিত তেল অত্যন্ত ভারী, ঘন এবং সালফারসমৃদ্ধ। এই ‘হেভি ক্রুড’ উত্তোলনে উচ্চ প্রযুক্তি ও বিপুল ব্যয়ের প্রয়োজন হয়। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে এ ধরনের তেলের দাম তুলনামূলকভাবে কম, ফলে প্রতিযোগিতামূলক দামে বিক্রি করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৪.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, একই বছরে সৌদি আরব আয় করেছে ১৮১ বিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ১২৫ বিলিয়ন এবং রাশিয়া ১২২ বিলিয়ন ডলার। অথচ এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তেল সরবরাহকারী ছিল ভেনেজুয়েলা।
এই পতনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংকট। ১৯৯৮ সালে হুগো শাভেজের ক্ষমতায় আসার পর দেশের তেল খাত জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি PDVSA-তে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে তেল উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যায়। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি আজ তেল রপ্তানি আয়ে পিছিয়ে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিশাল বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রায় ১,৫০০ মানুষ অংশ নেন এবং পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ৪২৫ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিক্ষোভটি আয়োজন করে প্রচারণা গোষ্ঠী ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর ওপর যুক্তরাজ্য সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন।
ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস জানায়, বিক্ষোভকারীরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় নামেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশ বিনা উসকানিতে নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং অনেককে মাটিতে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ প্ল্যাকার্ড বহনের জন্যও অনেককে গ্রেপ্তার করে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং গ্রেপ্তারকৃত একজনের মুখ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রথমে তর্কাতর্কি হয় এবং পরে কিছু অংশগ্রহণকারী পুলিশের দিকে পানির বোতল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে কয়েকজন বিক্ষোভকারী মাটিতে পড়ে যান।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন, পুলিশ কর্মকর্তাকে আক্রমণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৪২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, বিক্ষোভকারীদের একাংশ তাদের ঘুষি, লাথি, থুতু ও বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করেছেন এবং মৌখিকভাবে আক্রমণ করেছেন।
সব সময় মোদির বন্ধু, ট্রাম্পের মন্তব্যে স্বস্তিতে ভারত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই প্রথম ট্রাম্পের কোনো মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার সকালে মোদি 'এক্স' (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লেখেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করি। আমরাও পুরোপুরি এর প্রতিদান দেব।"
শুক্রবার, ট্রাম্প তির্যকভাবে বলেছিলেন যে "ভারত ও রাশিয়াকে আমরা চীনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেললাম।" তিনি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এই বার্তার সঙ্গে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দেওয়া মোদি, পুতিন ও সি চিন পিংয়ের একটি ছবিও শেয়ার করেছিলেন। এই মন্তব্যের জেরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ট্রাম্প তার আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে জানান, তিনি সব সময় মোদির বন্ধু থাকবেন এবং মোদি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, "ভারতকে আমরা হারিয়ে ফেলিনি। মোদি আমার খুব ভালো বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব সব সময় অটুট থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক আছে। ভয়ের কিছু নেই।"
এই মন্তব্যের পরই মোদির ইতিবাচক বিবৃতি থেকে মনে করা হচ্ছে, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে আড়ষ্টতা ছিল, তা হয়তো এবার শিথিল হতে শুরু করেছে। গত ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপের পর থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প যত মন্তব্য করেছেন, তার কোনোটিরই জবাব মোদি দেননি। কিন্তু এবার তাৎক্ষণিকভাবে তার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প অবশ্য এই সময় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে তার হতাশার কথাও গোপন করেননি। অন্যদিকে, এএনআই কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী অসম্ভব গুরুত্ব দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো।"
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার মাধ্যমে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে। এমনকি ট্রাম্পের সহযোগীরা এই যুদ্ধকে "মোদির যুদ্ধ" বলেও আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না, কারণ এটি ভারতের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
মোদি ও ট্রাম্পের এই সাম্প্রতিক মন্তব্য বিনিময় দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্তে বন্যা: ‘পানি অস্ত্র’ ব্যবহার নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে
পাকিস্তানের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের পাঞ্জাব প্রদেশ ভয়াবহ বন্যার তাণ্ডবে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার এই অঞ্চলে বন্যার প্রবল প্রভাব পড়েছে, যেখানে গ্রাম ও কৃষিজমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে, নিহত হয়েছে শতাধিক মানুষ এবং হাজার হাজার গৃহহীন হয়েছেন। একই সময়ে ভারতে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে।
পাকিস্তান এবং ভারতের সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব অঞ্চলে বন্যার কারণে উভয় দেশের নদীগুলোতে পানির উচ্চ প্রবাহের ফলে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী আহসান ইকবার ভারতের ওপর ‘পানি অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদীর পানি সঠিক সময়ে ছেড়ে না দেওয়ার কারণে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বন্যা আরও ভয়াবহ হয়েছে।
১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তি অনুসারে দুই দেশকে নদীর পানি ব্যবস্থাপনার তথ্য বিনিময় করতে হয়। কিন্তু ভারত চুক্তি স্থগিত করার পর থেকে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জুনে ঘোষণা দেন যে, এই চুক্তি আর পুনরুদ্ধার হবে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বন্যা হয়েছে এমন দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়। কিংস কলেজ লন্ডনের ভূগোলের অধ্যাপক দানিশ মুস্তাফা মনে করেন, নদীর অতিরিক্ত পানি ভারতীয় রাজ্যগুলোতেও ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে, তাই ভারতীয় প্রশাসন পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সতর্ক।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার পানি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেও সীমান্তে মানবিক কারণে ভারতীয় হাইকমিশন বন্যার সতর্কবার্তা জারি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা বিশেষজ্ঞরা বারবার গুরুত্বারোপ করছেন।
মার্কিন শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের নতুন কর সংস্কার: জিএসটিতে দুই স্তরে সহজীকরণ
ভারত সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব কমাতে এবং ভোগ বৃদ্ধি করতে শত শত পণ্যের ওপর কর হ্রাস করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোকে সহজ করে চার স্তরের পরিবর্তে এখন দুটি স্তরে (৫% ও ১৮%) নিয়ে আসা হয়েছে। সিগারেটের মতো ক্ষতিকারক পণ্যের ওপর পৃথক ৪০ শতাংশ কর অপরিবর্তিত থাকবে।
নতুন কর কাঠামোতে খাদ্যদ্রব্য, স্কুল সরবরাহ ও বীমার মতো পণ্য-পরিষেবা সস্তা হবে, তবে আমদানি করা মদ ও প্রিমিয়াম গাড়ির মূল্য বাড়বে। এই পরিবর্তনের ফলে শেয়ারবাজার ইতিমধ্যে সাড়া দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা জানান, কর কমানোর কারণে সরকারের রাজস্বে ৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। তবে, কোটাক সিকিউরিটিজের এমডি শ্রীপাল শাহ বলেন, নতুন কর ব্যবস্থা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোগ বৃদ্ধি করবে, যা সরাসরি চাহিদা, ব্যবসা ও আয়ের উন্নতি ঘটাবে এবং মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়ক হবে।
নতুন কর হার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে, যা ভারতে উৎসব মরশুমের সঙ্গে মিলিত হবে এবং এসি, টিভি, গৃহস্থালী ইলেকট্রনিক্সের বিক্রি বাড়ানোর আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই জিএসটি সংস্কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক ও জরিমানা থেকে উদ্ভূত চাপ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নতুন সংস্কারের মাধ্যমে কৃষক, মধ্যবিত্ত, নারী, যুবক ও ছোট ব্যবসায়ীদের সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সুদানে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিধসে গ্রাম ধ্বংস
আফ্রিকার দেশ সুদানের পশ্চিমাঞ্চল দারফুরে ভয়াবহ ভূমিধসে একটি সম্পূর্ণ গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে আছেন মাত্র একজন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, দারফুরভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৩১ আগস্ট টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পর দারফুরের মাররা পর্বতমালায় এই মর্মান্তিক ভূমিধস ঘটে। মুহূর্তেই পুরো গ্রাম মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ছিল বেশি।
সংগঠনটির নেতা আবদেলওয়াহিদ মোহাম্মদ নুর এক বিবৃতিতে বলেন, “গ্রামটি আর অস্তিত্ব নেই। একজন ছাড়া কেউ বেঁচে নেই।” তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে মরদেহ উদ্ধারে এবং ত্রাণ সহায়তায় সহযোগিতা চেয়েছেন।দুর্গম মাররা অঞ্চলে আগে থেকেই খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট ছিল। ভূমিধসের পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর দারফুরে সরকারি বাহিনী ও আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। ওই অঞ্চল থেকে পালিয়ে বহু মানুষ মাররা পর্বতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার প্রকৃতির আঘাতে সেখানেও বিপর্যয় নেমে এল।
এদিকে, প্রায় দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সুদান আজ চরম মানবিক সংকটে রয়েছে। দেশটির অর্ধেকের বেশি জনগণ খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশির এখন নিয়মিত হামলার শিকার হচ্ছে।
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪১১ জনে, আর আহত হয়েছেন অন্তত ৩,১২৪ জন। ধ্বংস হয়ে গেছে ৫,৪০০টির বেশি ঘরবাড়ি। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এখনও চলছে উদ্ধার অভিযান, যা নানা প্রতিকূলতায় ব্যাহত হচ্ছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া, আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক সমন্বয়কারী সংস্থাও সতর্ক করে বলেছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পটি আঘাত হানে স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুনার ও নানগারহার প্রদেশ। ভেঙে পড়েছে শত শত কাদামাটি ও ইটের তৈরি ঘরবাড়ি।
কুনার প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান এহসানুল্লাহ এহসান জানান, প্রদেশটির অন্তত চারটি গ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা অনুমান করতে পারছি না, কত মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। আমাদের অগ্রাধিকার এখন দ্রুততম সময়ে উদ্ধার কাজ শেষ করে ত্রাণ পৌঁছানো।”
পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি, সরু রাস্তা ও প্রতিকূল আবহাওয়া উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক দুর্গম গ্রামে গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে হেলিকপ্টার ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবারও সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স কুনারের গ্রামগুলোর দিকে রওনা দিয়েছে। হেলিকপ্টারে করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আফগান রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়। এমনকি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন টের পাওয়া গেছে।
ঘানার প্রধান বিচারপতি অপসারিত, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা
ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো দেশটির প্রধান বিচারপতি গার্টরুড টরকোর্নোকে অপসারণ করেছেন। পদের অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত জানায় প্রেসিডেন্টের দপ্তর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগের ভিত্তি পাওয়া গেছে এবং তাকে অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও টরকোর্নো এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তিন ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রেসিডেন্ট।
তদন্তে আবেদনকারীদের পক্ষে ১৩ জন সাক্ষীর ১০ হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান বিচারপতি নিজেও সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ঘানার ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধান বিচারপতি, যিনি তদন্তের মুখোমুখি হয়ে পদচ্যুত হলেন।
এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যালফ্রেড তুয়া-ইয়েবোয়া।
ঘানায় প্রধান বিচারপতিরা সাধারণত নিরাপদ মেয়াদ ভোগ করেন এবং কেবল অসদাচরণ বা অযোগ্যতার মতো সীমিত কারণে অপসারণযোগ্য।
আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ৫০০, আহত ১ হাজারের বেশি
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে রোববার গভীর রাতে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই দুর্যোগে বহু বাড়িঘর ধসে পড়ার পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১,০০০ জনের বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক রেডিও টেলিভিশন আফগানিস্তান (আরটিএ) এই তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.০। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদের পূর্ব-উত্তরপূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং ভূগর্ভের মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রদেশটি প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড় দ্বারা আবৃত হওয়ায় রাস্তাগুলো খুবই সংকীর্ণ, যার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত কাজ শুরু করেছেন। আফগান সরকার আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।
ভূমিকম্পের কম্পন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ২০০ কিলোমিটার দূরে এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে।